সিরিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের নিরাপত্তা চুক্তি ভেস্তে গেল!
সিরিয়ার সঙ্গেইসরায়েলের নিরাপত্তা চুক্তি ভেস্তে গেল!
সিরিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের নিরাপত্তা চুক্তি ভেস্তে গেল! সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের সরকার থাকার সময় ইজরায়েল ও সিরিয়ার মধ্যে অনেক গুলো নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। কিন্তু সিরিয়ায় বিপ্লবের পর বিপ্লবি সরকার ইজরায়েলের বিপক্ষে কথা বলছে। তারা আর ইজরায়েলের সাথে এ-সব চুক্তি বহাল রাখতে চাইনা।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদন সা’আর আজ জেরুজালেম পোস্ট কে জানিয়েছেন, সিরিয়ার সঙ্গে প্রস্তাবিত নিরাপত্তা চুক্তির আলোচনা বর্তমানে আর হচ্ছে না তা স্থগিত রয়েছে সাথে দুই পক্ষের মধ্যে মতপার্থক্য গত কয়েক সপ্তাহে আরো বেড়েছে
জেরুজালেম পোস্টের বার্ষিক সম্মেলনে বক্তৃতা প্রদানকালে সা’আর বলেন,“আমরা সিরিয়ার সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলাম, কিন্তু বর্তমানে সেই আলোচনা থেমে আছে। দুই পক্ষের মধ্যে ব্যবধান কমার পরিবর্তে বরং বেড়েছে।

বাশার আল-আসাদের পতনের পর থেকে ইসরায়েল দক্ষিণ সিরিয়ায় বেশ কয়েকটি কৌশলগত এলাকা দখল করে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মাউন্ট হারমনের কিছু অংশ এবং গোলান উচ্চভূমির বাইরেও নতুন বাফার জোন।
সিরিয়া তাদের এবস এলাকা পুনরায় ফেরত চাই। এনিয়ে ইজরায়েলের সরকারের সাথে সিরিয়া সরকার যোগাযোগ করেন কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। অবশেষে জাতিসংঘের দারস্থ হয়। কিন্তু ইজরায়েল জাতিসংঘের প্রস্তাব কেউ বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া একটি প্রস্তাবে ইসরায়েলকে এই অঞ্চল থেকে পিছু হটতে বলা হলেও, তেল আবিব তা প্রত্যাখ্যান করেছে। যা সিরিয়া সরকারের চরম অপমান ও আন্তর্জাতিক সংস্থা গুলোর ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এজন্য সিরিয়া ইজরাইলের সাথে সকল চুক্তি বাতিল করতে চাইছে। উল্টো, এসব চুক্তি সম্পর্কে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন সিরিয়ান সরকারের সঙ্গে যে কোনো চুক্তির জন্য গোলান উচ্চভূমিতে ইসরায়েলের পূর্ণ সার্বভৌমত্ব এবং দক্ষিণ সিরিয়ায় সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখা অপরিহার্য শর্ত।
অন্তর্বর্তীকালীন সিরিয়ান কর্তৃপক্ষ এই শর্তগুলো মেনে নিতে রাজি নয় বলে জানা গেছে। এই ঘোষণার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে সিরিয়া তাদের হাজার হাজার সেনাবাহিনী নিয়ে রোড সো ও হেলিকপ্টার উড়িয়ে তাদের সক্ষমতা জানান দিচ্ছে। কোনো অপ্রিতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য সিরিয়া যে প্রস্তুত এই সেনাবাহিনী রোডসো তারাই প্রমাণ।
বিশ্লেষকদের মতে, আসাদ-পরবর্তী সিরিয়ায় ক্ষমতার শূন্যতা এবং ইসরায়েলের আঞ্চলিক সম্প্রসারণ নীতি এ অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। এখন পর্যন্ত সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।





