হাদির ওপর হামলায় বিএনপির দিকে সন্দেহের নজর ?
ঢাকা | রাজনৈতিক ডেস্ক |হাদির ওপর হামলায় বিএনপির দিকে সন্দেহের নজর ?
ঢাকা – ৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। হামলার তদন্ত চলমান থাকলেও ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে নানা বিশ্লেষণ, সন্দেহ ও মতামত ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও রাজনৈতিক মহলে।
ঘটনার পর থেকেই একটি প্রশ্ন জোরালোভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে – এই হামলার পেছনে কারা?
ওসমান হাদি এবার ঢাকা ৮ আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপির প্রভাবশালী নেতা মির্জা আব্বাস।
এই কারণেই অনেকেই বলছেন – ওসমান হাদির বাড়তে থাকা জনপ্রিয়তায় উদ্বিগ্ন হয়ে প্রতিপক্ষ কেউ হয়তো তাকে পথ থেকে সরানোর চেষ্টা করেছে।

কিন্তু এসবই এখনো মানুষের ধারণা, তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। রাজনৈতিক সময়কাল ও সন্দেহ আরও ঘনীভূত করছে। হামলার দিন রাতেই বিএনপি হঠাৎ ঘোষণা দেয়- তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন।
রাজনীতির পর্যবেক্ষকদের মতে, দেশের প্রধান শিরোনাম যখন ওসমান হাদি, তখন এই ঘোষণা যেন জনদৃষ্টি অন্যদিকে সরানোর একটি প্রচেষ্টা। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন – তারেক রহমান এত বছর দেশে ফিরলেন না, এমনকি তার মা বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও না। কিন্তু হঠাৎ কি এমন ঘটলো? ঠিক ওসমান হাদির ওপর হামলার রাতেই কেন এই ঘোষণা?
সমালোচকদের মন্তব্য – সময়কাল মিলিয়ে দেখলে সন্দেহ আরও জোরালো হয়। একটি গভীর ষড়যন্ত্র এমনই মন্তব্য করেছেন, পিনাকী ভট্টাচার্য।

হামলার সময় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে লক্ষ্য করে মাথায় গুলি করা হয়। যা সাধারণ অপরাধীর পক্ষে করা কঠিন। এ বিষয়ে বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্য মন্তব্য করেছেন – এটি কোনো সাধারণ হামলা নয়, এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে।
বর্তমানে পুরো দেশের নজর ওসমান হাদির দিকে। সবাই তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছেন। এমন সময়ে বিএনপির বড় রাজনৈতিক ঘোষণা অনেকের কাছেই অস্বাভাবিক মনে হয়েছে।
অনেকে বলছেন – যদি সত্যিই শুধু নির্বাচনী প্রস্তুতির জন্য এ ঘোষণা করে থাকে, তাহলে একদিন পর ঘোষণা দিলেও তো সমস্যা হতো না। এখন কেন দেশে ফেরার ঘোষণা দিলো?
তবে সবশেষে একটি কথাই স্পষ্ট – এখনো কিছুই প্রমাণিত নয়। তদন্তের ফলই নির্ধারণ করবে প্রকৃত ঘটনা কী ছিল এবং কারা এর পেছনে দায়ি। এরই মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও পরিকল্পনার উৎস খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।







