গাজা যুদ্ধের পর যুক্তরাজ্যে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে রেকর্ড বৃদ্ধি
যুদ্ধের পর যুক্তরাজ্যে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে রেকর্ড বৃদ্ধি
যুক্তরাজ্যে বিশ্বব্যাপী সংঘাত, বিশেষ করে গাজা যুদ্ধের প্রভাবে, ইসলাম ধর্ম গ্রহণের প্রবণতা উল্লেখযোগ্যহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইনস্টিটিউট ফর দ্য ইমপ্যাক্ট অফ ফেইথ ইন লাইফ (IIFL) নামক একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সাম্প্রতিককালে যুক্তরাজ্যে ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে ২০ শতাংশ ব্যক্তি বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ ও সংঘাতকে তাদের ধর্মান্তরের প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ল্যান্ডস্কেপ অফ ফেইথ ইন ব্রিটেন’ শিরোনামের প্রতিবেদনে ২,৭৭৪ জন যুক্তরাজ্যবাসীকে জরিপ করা হয়, যারা তাদের নিজের ধর্ম ত্যাগ করে নতুন ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
এই সমীক্ষায় দেখা গেছে, ইসলাম ধর্মের নেট গেইন ২ শতাংশ আর পরিত্যাগ করেছেন মাত্র ০.৮ শতাংশ মুসলিম। এর বিপরীতে, খ্রিস্টধর্ম থেকে ৪৪ শতাংশ লোক ধর্মত্যাগ করেছেন, যার বেশিরভাগই নাস্তিকতায় রূপান্তরিত হয়েছেন।

এই সমীক্ষায় দেখা গেছে, ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে বিশ্বব্যাপী সংঘাতের কারণে ২০ শতাংশ মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি ১৮ শতাংশ মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা এবং ১৬ শতাংশ আর্থিক সমস্যার কারণে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
শাকিল বেগ যুক্তরাজ্যের একজন ইমাম, যিনি হাজার হাজার ব্রিটিশ নাগরিককে ইসলাম গ্রহণে সাহায্য করেছেন। তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অক্টোবর ২০২৩ – এর পর থেকে মসজিদে ধর্মান্তর হওয়ার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
গাযার যুদ্ধের সময় থেকে, মানুষ ইসলাম সম্পর্কে জানতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন এবং এটি গ্রহণ করতে চাইছেন। শাকিল বেগ বলেন, তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে এই মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করছেন।

২০২৪ সালের একটি রিপোর্ট অনুসারে, তিনি ইতিমধ্যে হাজার হাজার ব্রিটিশকে ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করেছেন। এই প্রবণতা শুধু যুক্তরাজ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। গাজায় হামলার পর থেকে ইউরোপে ইসলাম গ্রহণের হার ৪০০ শতাংশ হারে বেড়েছে বলে গ্লোব আই নিউজ রিপোর্ট করেছে।
টেলিগ্রাফের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী যুদ্ধগুলি ব্রিটিশদের ইসলামের দিকে টানছে এবং এটি গাজা সংঘাতের পর থেকে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।যুদ্ধের পর যুক্তরাজ্যে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে রেকর্ড বৃদ্ধি
সমীক্ষায় আরও দেখা গেছে, ইসলাম গ্রহণকারীরা অন্যান্য ধর্মান্তরকারীদের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি ইসলামের রীতিনীতি এবং সম্প্রদায়ের প্রতি আকর্ষণে প্রভাবিত হয়েছেন, যা ২৭ শতাংশের কাছে পৌঁছেছে।
এই সমীক্ষা যুক্তরাজ্যের ধর্মীয় ল্যান্ডস্কেপের পরিবর্তনকে নতুনভাবে সবার সামনে উপস্থাপন করছে। যেখানে বিশ্ব ঘটনাসমূহ ব্যক্তিগত বিশ্বাস গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিশেষকরে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন। বিশেষজ্ঞরা দাবি, এটি শুধু ধর্মীয় বৃদ্ধি নয়, বরং বিশ্বব্যাপী ন্যায়ের প্রতি সচেতনতার প্রতিফলন।






